ভৌতিক কোনো ছায়াছবি দেখে আবেগে কেঁদে ফেলাটা একটু ভিন্নই। যা আমার সাথে ঘটেছে! আসলে ছবিটির শেষ অংশে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলাম। যাই হোক, ছায়াছবির আড্ডার আজকের পর্বে থাকছে এটি ভৌতিক ছায়াছবি। আজকের ফ্লিম দ্যা রিং।
দ্যা রিং একটি সাইকোলজিক্যাল হরর ফ্লিম। ছবিটি ১৯৯৮ সালের জাপানি ছবি Ringu এর রিমেক। ছবিটি একই নামের একটি উপন্যাসের উপর ভিক্তি করে নির্মিত হয়েছে। ছবিতে একটি রহস্যজনক ভিডিওটেপকে ঘিরে সাজানো হয়েছে। ভিডিওটেপটি একটি অভিশপ্ত টেপ যেটিতে রয়েছে কিছু সাদাকালো উল্টা-পাল্টা দৃশ্য রয়েছে। ভিডিও টেপটি দেখার পর একটি ফোন কল আসবে এবং ফোনে একটি মেয়ে বলবে যে, আপনি পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে মারা যাবেন!! ছবিটি ব্যাপক সাফল্য এবং নিন্দা দুটোই অর্জন করে।
পরিচালকঃ
গ্লোর ভেরবিনস্কি
প্রযোজকঃ
ওয়াল্টার এফ.পার্কস
লাউরিই ম্যাকডোলান্ড
উৎসঃ
কোজি শুজুকির “রিং” উপন্যাস
মিউজিকঃ
হ্যানস জিমার
চিত্রনাট্যঃ
বোইলান বেইজলি
ডিস্ট্রিবিউটরঃ
ড্রিমওর্য়াকস পিকচারস
মুক্তি পেয়েছেঃ
অক্টোবর, ২০০২
দৈর্ঘ্যঃ
১১৫ মিনিট
দেশঃ
আমেরিকা,
জাপান
ভাষাঃ
ইংরেজি
বাজেটঃ
৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
বক্স অফিসঃ
২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!
** ছবিতে কোনো ১৮+ দৃশ্য, আকার, ইঙ্গিত এবং গালাগালি নেই **
অভিনয়েঃ
Naomi Watts
Martin Henderson
Brian Cox
Daveigh Chase
Martin Henderson
Brian Cox
Daveigh Chase
কেইট এবং তার বান্ধবী বেক্কা। তারা বাসায় আজ একা একা বসে বোর হচ্ছে। কর্থাবার্তার মধ্যে তারা একটি অভিশপ্ত ভিডিওটেপের কথা আলোচনা করে। ইতিহাসের মতে, ভিডিওটেপটে যেই দেখবে তাকেই একটি ফোন কল আসবে এবং সাত দিন পর ব্যক্তিটি মারা যাবে।
কেইট সাত দিন আগেই ভিডিওটি দেখেছে তবে এখনো কিছুই হয়নি। কিন্ত কেইট আবারো ভিডিও টি টিভিতে ছাড়ে আর অন্য দিকে বেক্কার মার ফোন আসে। বেক্কা ফোনালাপ শেষ করে এসে কেইট এর মুখমন্ডল বিকৃত লাশ খুঁজে পায় সেখানে।
পরে পুলিশ কেইস হয়। কেইট এর মা কেইটের লাশ গ্রহণ করে। ওদিকে বেক্কা মানসিক রোগী হয়ে যায় আর তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কেইট এর মার বোন সাংবাদিক রাচেল কেলার কে অনুরোধ করা হয় এই মামলার তদন্ত করতে। রাচেল জানতে পারে যে, সাতদিন আগে কেইটের সাথে যে যে ভিডিওটি দেখেছে তারা সবাই একই সময়ে একই ভাবে খুন হয়েছে। খুঁজতে খুঁজতে রাচেল সেই কেবিনের খোঁজ পায় যেখানে কেইট এবং তার বন্ধুরা ভিডিওটি দেখেছিল। সেখানে রাচেলও ভিডিও দেখে এবং একই ভাবে তার ফোনে কল আসে। যাই হোক, রাচেল তার সাবেক বয়ফ্রেন্ডকে সাহায্যের জন্য ফোন দেয়। মার্টিন রাচেল কে বলে যে, ভিডিওটেপটির একটি আলাদা কপি করে নিয়ে আসতে।
ভিডিওটি দেখার পর থেকেই রাচেলের জীবনে ঘটতে থাকে অদ্ভুত সব কান্ড। নিয়মিত সে দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকে।
ভিডিওটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য রাচেল চলে যায় মানসিক হাসপাতালে বেক্কার সাথে মিটআপ করার জন্য। বেক্কার রাচেল কে বলে যে আর মাত্র চারদিন বাকি। আর কিছুই বলে না।
ভিডিওটি নিয়ে গবেষণা করার পর রাচেল জানতে পারে, ভিডিওটিতে একজন দম্পতিকে দেখানো হয়, একটি ছোট মেয়েকেও দেখানো হয়। তাদের পরিচয় রাচেল মহিলাটির হাতের ব্যাঁচ পড়ে জানতে পারে।
মহিলাটির নাম এন্যা মরগান। তিনি ঘোড়া ভালবাসতেন এবং ঘোড়া পালতেন। এন্যা এবং তার স্বামী রির্চাড একটি সন্তান এডোপ করেন, একটি মেয়ে সামারা কে পালক হিসেবে নিয়ে আসেন। তবে কিছুদিন পর সামারা কে এন্যা শ্বাসরোদ্ধ করে এবং কুয়াতে ফেলে হত্যা করে। আর ওদিকে তার ঘোড়াগুলো পাগলের মতো আচরণ শুরু করে আর পাশের সাগরে লাফিয়ে মারা যায় । এই শোকে এন্যাও আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয় তবে মরার আগে এই অভিশপ্ত ভিডিওটি রের্কড করে রেখে যায়।
মোরগানদের বাসায় রাচেল যায় তবে রির্চাড তার মেয়ে এবং স্ত্রীর ও ভিডিওটেপটির ব্যাপারে কোনো কিছু বলতে অপারগতা জানায়। পরে রাচেলকে একজন স্থানীয় ডাক্তার জানায় যে, তারা সন্তান নিতে পারেনি দেখে সামারা কে এডোপ করে কিন্তু এন্যা সামারাকে দেখতে পারতো না। আর এই পুরো ঘটনাটা এলাকার সবাই জানতো কিন্তু ভিডিও টেপটির ব্যাপারে রির্চাড ছাড়া কেউই জানতো না।
রাচেল কি পারবে তার মৃত্যু ঠেকাতে এবং এই অভিশপ্ত ভিডিওটির সমাধান করতে? জানতে হলে দেখতে হবে মুভি টি! অসাম একটি মুভি এবং পুরো পরিবারকে নিয়ে দেখার মতো ছবি। ছবিতে কোনো ১৮+ দৃশ্য নেই।
ডাউনলোড:
www.youtube.com/watch?v=bkIy02GS__8
http://o2cinemas.com/showmovie.php?id=1117
http://kickass.to/the-ring-2002-dvdrip-eng-axg-t458452.html
Comments
Post a Comment